মজাদার আলুর দম
সাধারণত ছোট আলু প্রথমে সিদ্ধ করে কড়া করে ভাজা হয়, তারপর মশলা, টক ও বিট লবণ দিয়ে ঝোলসহ অল্প আঁচে আস্তে আস্তে রান্না করা হয়। বাংলার ঐতিয্যে এটি একটি বিশেষ খাবার যা বেশিরভাগ সময়ই লুচির সাথেই খাওয়া হয় এবং বাংলায় এটি "আলুর দম" নামেই বেশি পরিচিত।
আলুর দম খেতে ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। লুচির সঙ্গে আলুর দম, মুড়ি সাথে মেখে আলুর দম, জলখাবার বা যে কোন হালকা নাস্তায় আলুর দম কিংবা নৈশভোজে লুচি কিংবা পরোটার সাথে আলুর দম।
এক কথায় বলতে গেলে সবসময় আলুর দম এক কথায় প্রিয় খাবার। আজকে রান্না করে ফেলুন আলুর দম।
আলুর দম এক প্রকার মূল খাবার, এর সাথে অন্য খাবার সহায়ক হিসেবে ব্যবহার হয়। আবার কিছু কিছু সময় আলুর দম রেসিপি সহায়ক খাবার হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। এর উৎপত্তিস্থল ভারত।
আজ এসেছি আলুর দম রেসিপি রান্না করার কৌশল শেখাতে যা পশ্চিম বাংলায় বেশ জনপ্রিয় খাবার এবং পুর্ব বাংলাতেও দিনে দিনে এর চাহিদা বেড়েই চলছে। লুচির সাথে যে সবজি নাম সবার আগে আসে তা হল আলুর দম রেসিপি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মজাদার আলুর দম রেসিপি রান্না নিয়ে আলোচনা করি ।
আলুর দম রেসিপি রান্নার উপকরণ
আধা কেজি আলু
পেয়াজ ৩-৪ টি
আদা বাটা ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
জিরা গুড়া বা জিরা বাটা সামান্য পরিমাণে
পাঁচ ফোড়ন দেড় চামচ
কাঁচা মরিচ ৫-৭ টি সবুজ
হলুদ গুড়া ও গুড়া মরিচ
তেল ও লবণ
গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা
চিনি ২ চামচ
তেতুল দুটি
তেঁতুলের কাথ তৈরি
দুইটি পাকা তেতুল অল্প পানিতে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখুন।
তেতুল নরম হয়ে আসলে খোসা এবং বিচি আলাদা করে ফেলুন।
এবার আলাদা করা তেতুল গুলো চিপে নিন।
ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ঘনো তেতুলের কাথ ।
আলুর দম রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিন। (খুব বেশি সিদ্ধ করবেন না কারণ কয়েক দফায় রান্না করতে হব)
এবার সিদ্ধ করা আলুর খোসা ছিলে নিন ।
পেয়াজ গুলো বেটে নিন।
স্বাদমতো লবন, হলুদ গুড়া ও গুড়া মরিচ দিয়ে মেখে ফেলুন।
দশ মিনিট পর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে আলু গুলো ভেজে নিন।
অন্য একটি পরিস্কার কড়াইয়ে পরিমাণমত তেল দিয়ে গরম হলে পাঁচফোড়ন দিন।
পাঁচফোড়ন ফুটে উঠলে এর ভিতরে বেটে রাখা পেয়াজ দিন।
কিছুটা সময় নিয়ে পেয়াজগুলো ভাজতে থাকুন।
একে একে জিরা বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, গরম মসলা, হলুদ গুড়া, গুড়া মরিচ ও স্বাদমত লবণ দিয়ে কষিয়ে গ্রেভি করে নিতে হবে।
মনে রাখবেন আপনার গ্রেভি কষানো যত ভালো হবে আলুর দমের স্বাদ তত ভালো হবে ।
গ্রেভি কষানো হয়ে আসলে ভেজে রাখা আলু গুলো ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন ।
আলুগুলো গোটা গোটা বা ভেঙ্গে নিতে পারেন ।
কিছুক্ষন রান্নার পর পরিমাণমত পানি দিয়ে ঢেকে দিন ।
পানি কমে আসলে তৈরি করা তেতুলের কাথ ও কাচা মরিচ ফেরে দিন।
যেহুতু তেতুল খুবই টক সেহুতু স্বাদটাকে একটু মসৃন করতে হালকা চিনি ছড়িয়ে দিয়ে ঢেকে দিন এবং চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
পানি আরো কমে আসলে এবং তেল দেখা গেলে নামিয়ে নিন ।
এবার লুচি, পরোটা কিংবা পুরির সাথে পরিবেশন করতে পারেন গরম গরম আলুর দম । আলুর দম ভাতের সাথে সবজি হিসেবে খেতে পারেন আপনারা।