সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মিশ্রিত সবজি রেসিপি

যারা সবজি খেতে পছন্দ করেন বা যারা নিরা‌মিশ ভোজী তাদের জন্য শীতকাল খুবই প্রিয় একটি সময়। হা‌টে-বাজারে গেলে পাওয়া যায় হ‌রেক রকম শাক সবজি। প্রতিদিন ভো‌রে রান্না করা হয় কোন না কোন প্রকার সবজি। কিন্তু প্রতিদিন একই জাতীয় সবজি খেতে কার ভাল লাগে?

দেশী স্বাদে মি‌শ্রিত সব‌জি আমাদের সবারই এক‌টি পছন্দের খাবার। সকা‌লে কিংবা বি‌কে‌লের নাস্তায় গরম গরম রুটি অথবা পরোটার সাথে ঘ‌রোয়া ভা‌বে রেস্টু‌রেন্ট স্টাই‌লে মি‌শ্রিত সবজি ও সাথে এক কাপ চা কিংবা ক‌ফি। ব্যস, নাস্তার টেবিলে কী  আর দরকার, বলুন তো? মিক্স সবজি রান্না করাও অ‌নেক সহজ। হাতের কাছে যে সবজি থা‌কে, তা দিয়েই চটপট করে এটা রান্না করে ফেলা যায়। বাচ্চাদের বা বয়স্ক সবার জন্য এটি বেশ উপযোগী। কারণ ডালে থাকা প্রোটিন ও সবজিতে থাকা পুষ্টি দুইটাই পাওয়া যায় এই রেসিপি থেকে।

কিছু কিছু লোক আ‌ছে যারা হোটেলের মিক্সড সবজি খুবই পছন্দ করে, তারা ভাবে সকালের নাস্তার জন‌্য বাসায় পরোটা তৈরি করলেও সবজি হোটেল থেকেই আন‌তে হবে। হো‌টেল বা রেস্টু‌রেন্ট এর মত সুন্দর করে ঘ‌রে রান্না করা সম্ভব না। কিন্তু এই ধারণা একদম ঠিক না, আপনারা ইচ্ছে করলেই বাসায় তৈরি করতে পারবেন হোটেলের মত সুস্বাদু মিক্সড সবজি। 

পুষ্টিকর মিশ্রিত সবজি

অনেকে হোটেলের মিক্সড সবজিটা খুব পছন্দ করে, ভাবে সকালের নাস্তায় বাসাই পরোটা তৈরি করলেও সবজিটা হোটেল থেকে নিয়ে আসতেই হবে। অত সুন্দর করে বাসাই রান্না করতে পারব না। কিন্তু সেই ধারনাটা একদম ঠিক নয়, আপনি ইচ্ছা করলে বাসাই তৈরি করতে পারবেন হোটেলের সুস্বাদু মিক্সড সবজি। চলুন তাহলে জেনে নেই হোটেলের মিক্সড সবজিটির রেসিপি।

পৃ‌থিবীর বিভিন্ন দেশে বাস করছে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি এর বেশি মানুষ। আর বাংগালীর তো অভাব নেই। প্রায় প্রতি‌টি দে‌শের কোনায় কোনায় আ‌ছে বাংগালী। এই প্রবাসী বাংগ‌ালীরা নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে ভিন দেশে জীবন যাপন করছে। একবার কি ভে‌বে দে‌খে‌ছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টকর কি? অ‌নে‌কে নানা মতবাদ দে‌বে। কিন্তু প্রবাসী কোন ভাই‌কে প্রশ্ন টা করলে জবাব আস‌বে, বি‌দেশী ভাষা আর বি‌দেশী খাবার। এজন‌্যই দেশীয় খাবার থেকে তারা পুরোপুরি ভা‌বে বঞ্চিত হবেন এমন হবার কোন সু‌যোগ নাই। প্রবাসী ভাই-বোন জন্য কুকটাব.কম পৌ‌ছে দে‌বে নানা প্রকার দেশী খাবা‌রের রে‌সি‌পি।


যে উপকরন লাগবে

বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের সবজি– (যেমনঃ পেঁপে, মিস্টি কুমড়া, সিম, আলু, ফুলকপি, বেগুন, কাঁচা বা পাকা টমেটো, গাজর)

ছোলা কিংবা মুগ ডাল– আধা কাপ

বড় পেঁয়াজ – দুই বা তিনটি

ফা‌লি ক‌রে নেয়া কাঁচামরিচ– আট/দশটি

হলুদগুড়া আধা চা চামচ

ধনিয়া গুঁড়া– আধা চা চামচ

গুড়া মরিচ আধা চা চামচ

জিরার গুঁড়া– আধা চা চামচ

ধনিয়া পাতা– এক মু‌ঠো (ক‌ু‌চি ক‌রে নেয়া)

লবণ— পরিমাণমতো

তেল– দুই টেবিল চামচ।


তরকা বা বাগা‌রের জন্যে লাগবে


রসুন– ছয়/সাত কোয়া ( কু‌চি ক‌রে কাটা)

শুকনা মরিচ– তিন/চারটি

গরম মসলা প্রয়োজনমত

তেজপাতা–দুই/তিনটি

জিরা– দেড় চা চামচ

তেল-পরিমাণমতো।


যেভাবে তৈরি করতে হবে

ভাল ভাল ক‌রে ধু‌য়ে ৩০ মি‌নিট ভি‌জি‌য়ে রাখ‌তে হ‌বে।

সব‌জি গু‌লো ভা‌লে ক‌রে প‌রিস্কার ক‌রে সব সবজি কিউব বা ছোট করে কে‌টে নি‌তে হ‌বে। 

এক‌টি হা‌ড়ি বা পা‌তিল বা কড়াই‌য়ে সকল সবজি ও ডাল দি‌য়ে অ‌র্ধেক প‌রিমাণে পেয়াজ কু‌চি, ফা‌লি করা কাঁচা মরিচ, হলুদগুড়া, ম‌রিচ গুড়া, ধ‌নিয়া গুড়া, জিরার গুড়া, দুই টেঃ চামচ তেল ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মে‌খে নিতে হবে।

মাখার সময় যেন সবজির গায়ে মসল্লা গু‌লো ভালোভাবে লেগে যায়। সবজি মাখানোর পর পানি দিতে হবে। বেশী পানি দেওয়া যা‌বে না। সবজি ও পানির পরিমাণ সমান-সমান হবে।

এরপর রান্না করার পা‌ত্রের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার তাপ বাড়িয়ে রান্না করতে হবে। পানি ফুটে উঠলে চুলার আচ মি‌ডিয়াম করতে হবে। 

মাঝে মাঝে ধী‌রে ধী‌রে খুন্তি দিয়ে নেড়ে চে‌ড়ে দিতে হবে। পেঁপে ও আলু যখন সিদ্ধ ঢাকনা খুলে দিতে হবে।

সবজিতে পানির প‌রিমাণ বেশী থাক‌লে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দি‌লে পানি খুব তারাকা‌রি ক‌মে যা‌বে।

পানি ক‌মে আসলে ‌জিরার গুড়া, ধ‌নিয়ার গুড়া ও ধনিয়া পাতা কু‌চি উপ‌ড়ে ছি‌টি‌য়ে দি‌য়ে হাঁড়ি চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন। ( সময় থাক‌লে খুব কম হি‌টে ঢাকনা দি‌য়ে কিছু সময় দ‌মে রাখুন, সব‌জির স্বাদ দিগুন বে‌ড়ে যা‌বে।

এবার চুলায় তরকা বা বাগ‌া‌রের জন্যে ফ্রাইপ্যান বসাতে হবে।  ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বাকি থাকা অর্ধেক পেঁয়াজ ও রসুন কু‌চি ভেজে নিতে হবে। । 

পেঁয়াজ কু‌চি ও রসুন কু‌চি হালকা ব্রাউন কালার বা বাদ‌া‌মি হলে তার মধ্যে জিরা, শুকনো মরিচ, হালকা হলুদ ও ম‌রিচ গুড়া দিয়ে একসাথে একটু নেড়ে সবজির ওপর ঢেলে দিন। ঢালার সাথে সাথে ঢাকনা দিয়ে দিন, এ‌তে বাগা‌রের ঘ্রান টা সব‌জি‌তে মি‌শে যা‌বে। 

সব‌জি‌তে ঝোল বা পা‌নি বে‌শি ম‌নে হ‌লে তরকার ভিত‌রে হালকা ময়দা মি‌শি‌য়ে তরকা দিন ঝোল বা পা‌নি গা‌ড়ো হ‌য়ে যা‌বে।

নবীনতর পূর্বতন