সামুচা রেসিপি- সুস্বাদু ও সহজে রান্নার রেসিপি

বর্তমানে আমরা যে সমুচা খাই তা প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে তৈরী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্যে গেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমুচা খেতেন বলে শোনা যায়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে সমুচা বর্তমানে সাড়া পৃথিবী হড়িয়ে গেছে; কিন্ত বর্তমানে  ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এশিয়া মহাদেশের মাঝে সমুচা দক্ষিণ এশিয়ার অতি জনপ্রিয় একটি মুথরোচক খাবার। সমুচা মূলত তিন কোনা আকারের ভাজা হালকা নাস্তা জাতীয় মুখরোচক খাবার; যা সাধারণত দুপুর, আড্ডা, টিফিন বা বিকেলের নাস্তা হিসেবে বেশিরভাগ সময় পরিবেশন করা হয়। এখন বাংলাদেশের আনাচে কানাচের বেশিরভাগ মোড়ের হোটেলে সমুচা পাওয়া যায়। সেখানে সমুসার সাথে পিঁয়াজু, সিঙাড়া, ডালপুরি, বেগুনি ও ভুনা ছোলা জাতীয় নানা প্রকার হালকা নাস্তা জাতীয় মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এটি হোটেলে থেকে খেয়ে থাকি। যা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় কিনা তার কোন গ্যারান্টি নাই। এ ক্ষেত্রে সমুচা পাগোল তারা স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভুলে স্বাদকেই প্রাধান্য দেয়; ফরস্বরুপ তারা নানা প্রকার সমস্যার সম্মুখিন হয়। বাচ্চারাও এই খাবার খুব পছন্দ করে। আমরা চাইলে খুব কম সময়েই নিজেদের বাসায় স্বাস্থ্যকর সমুচা তৈরি ফেলতে পারি।


১২ জনের জন্য উপকরণঃ 

ক।    ময়দা ২ কাপ

খ।    মুরগি/গরুর কিমা করা মাংস ২ কাপ।

গ।    পেঁয়াজ ০১ কাপ (কুচি করে কেটে নিতে হবে।)

ঘ।    আদা এবং রসুন বাটা ১ চা চামচ।

ঙ।    কাঁচামরিচ ৮-১০ টি (কুচি কুচি করে কেটে নিন।)

চ।    গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ।

ছ।    সয়াবিন তেল ভাজার জন্যে (পরিমাণমতো।)

জ।    লবণ পরিমাণমতো।

ঝ।    প্রয়োজন মতো পানি।


রান্নার ধাপঃ

রান্নার ১ম ধাপঃ- প্রথমে পরিমাণ মতো লবণ ও সম্পন্ন আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিমা সিদ্ধ করে নিন।

রান্নার ২য় ধাপঃ- একটি নন-স্টিক ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে পেয়াজ হালকা করে স্যতে (হালকা করে ভাজা) করে নিন। 

রান্নার ৩য় ধাপঃ- স্যতে করা পেয়াজের সাথে সিদ্ধ করা মাংসের কিমা মিশিয়ে হালকা তাপে একটু সময় রান্না করুন।

রান্নার ৪র্থ ধাপঃ- এরপর কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে টেষ্ট করে নামিয়ে নিন।

রান্নার ৫ম ধাপঃ-  পরোটার জন্য যে ভাবে খামির/ডো করে সেভাবে ময়দা মাখিয়ে খামির/ডো করে ৩০ মিনিট সাদা মার্কিন কাপড়/ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। 

রান্নার ৬ষ্ঠ ধাপঃ- খামির নান রুটির সাইজ করে বেলে রুটির উপর তেল ও শুকনা ময়দা দিয়ে অন্য একটি রুটি দিন। এভাবে ৫টি রুটি হলে সবগুলো একসাথে পুনরায় প্রথমবারের চেয়ে ২ গুন বড় করে বেলে নিন। 

রান্নার ৭ম ধাপঃ-  এবার গরম তাওয়া হালকা তাপে ঘন ঘন উল্টে দিলে পাচটি রুটি ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাবে। এবার রুটি থেকে সমুচার শীট/পাতি সাইজে কেটে নিন। 

রান্নার ৮ম ধাপঃ- ময়দা আঠালো করে গুলে রাখুন। পাতি/শীট একটি ভাজ করে ভিতরে পুর দিয়ে সামচার আকারে পেচিয়ে আঠালো ময়দা দিয়ে আটকে দিন। ( এই অবস্থায় সমুচা ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে প্রায় ১৫ দিন ভাল থাকে।)

রান্নার ৮ম ধাপঃ- একটি পাত্রে তেল গরম করে সমুচা বাদামি কালার করে ভাজতে হবে। এবং টমেটো সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

নবীনতর পূর্বতন